চট্টগ্রাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে চট্টগ্রামের মানুষ বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৩টার পর থেকে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে শুরু হওয়া বিজয় মিছিলে নারী, শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। অল্প সময়ের মধ্যেই বহদ্দারহাট মোড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ সমবেত হয়।
বিজয় মিছিলটি ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে বহদ্দারহাট ও মুরাদপুর হয়ে লালদিঘীর পথে এগিয়ে যায়। নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে মিশে যায়।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ও মাথায় পতাকা স্লোগান দিতে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিন বলে, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন। বিজয় আমাদের।’
এর আগে বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।’
এদিকে নগরের দারুল ফজল মার্কেটের নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে বিজয়মিছিল থেকে এসে কার্যালয়টিতে আগুন লাগানো হয়।
এছাড়াও, আওয়ামী লীগ নেতা সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একইভাবে রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাসাতেও আগুন দেওয়া হয়।
বেলা তিনটার পর থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে লোকজন নগরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো নিউমার্কেট, দামপাড়া, কোতোয়ালি, প্রবর্তক মোড়, বহদ্দারহাট এবং চকবাজার।
বহদ্দারহাটে জড়ো হওয়া মিছিল থেকে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় ভাঙচুর করা হয় এবং পরবর্তীতে আগুন লাগানো হয়। এ সময় মেয়র বাসায় ছিলেন না, তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাসায় ছিলেন।
নিউমার্কেট মোড় থেকে একটি দল দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে আগুন দেয়। বিকেল পাঁচটার দিকে কোতোয়ালি থানার পেছনে পাথরঘাটায় অবস্থিত রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাসায়ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।