মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী শহরে বর্জ্য অপসারণের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। এর ফলে বাসাবাড়ি ও রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ জমে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বটতলী মোটর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বটতলী কাঁচা বাজারের সামনে দীর্ঘদিন ধরে বর্জ্যের স্তূপ পড়ে রয়েছে। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় পথচারীদের নাক চেপে ধরে রাখতেও দেখা গেছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, এই বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব এখন কার?
ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে বটতলী শহর পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা বেশির ভাগ সদস্য আত্মগোপনে চলে গেছেন। তখন থেকে বর্জ্যের স্তূপ জমে আছে সড়কে।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, দীর্ঘদিন ময়লা পড়ে থাকার ফলে বাজে দুর্গন্ধ তৈরি হয়েছে। দুর্গন্ধে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছেন না। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নাক চেপে ধরে চলাফেরা করছেন। তারা আশা করছেন, দ্রুত একটি শহর পরিচালনা কমিটি গঠন করে বর্জ্য অপসারণসহ একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বটতলী শহর উপহার দেবে প্রশাসন।
মিরদাদ নামে এক পথচারী বলেন, “সরকার পতন হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও রাস্তায় ময়লা জমে আছে। এতে করে রাস্তা দিয়ে হাঁটা যাচ্ছে না। নাক চেপে ধরলেও দুর্গন্ধ আটকানো যাচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “বটতলীর শহরের বিভিন্ন স্থানে বর্জ্যের স্তূপ দেখা যায়। এছাড়া দীর্ঘদিন ময়লার ভাগাড়গুলোতে বর্জ্য পড়ে থাকায় অতিরিক্ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে এই দুর্গন্ধ।”
জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরুকে আহ্বায়ক ও খোরশেদ আলমকে সদস্য সচিব করে লোহাগাড়া বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি অনুমোদন দেন সাবেক সংসদ সদস্য এম. এ মোতালেব। কিন্তু গত মাসে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে কমিটির বেশিরভাগ সদস্য আত্মগোপনে চলে গেছেন। সেই থেকে শহর পরিচালনার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইনামুল হাছান বলেন, “বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি গঠন করার উদ্যোগ ব্যবসায়ীরা নিবেন। ব্যবসায়ীরা যদি চান নির্বাচনের মাধ্যমে শহর পরিচালনা কমিটি করবেন, সেক্ষেত্রে প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।”