সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ১৫ কোটি পাউন্ডের সম্পত্তি নিয়ে ব্রিটেনের সহায়তা চাইল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮:২৭ অপরাহ্ন


একুশে ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদের হদিস খুঁজতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সদস্যদের সম্পদ যুক্তরাজ্যে পাচার করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন সরকার দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সহযোগীদের ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার অংশ হিসেবে ব্রিটেনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, বর্তমান প্রশাসন তদন্ত করছে যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে কি না। যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে।

মনসুরের দাবি, যুক্তরাজ্য সরকার তদন্তে সহায়তা করছে। বাংলাদেশের নতুন সরকারের কাছে ব্রিটিশ হাইকমিশনার প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। বিশেষ করে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ১৫ কোটি পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তির অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের তদন্তে জানা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ২৮০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনেছেন, যার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি পাউন্ড। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভূমিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এসব সম্পত্তির বেশির ভাগ কেনা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসও ব্রিটিশ সরকারের সহায়তায় পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। তার মুখপাত্র শফিকুল আলম জানিয়েছেন, চুরি হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনাই সরকারের অগ্রাধিকারগুলোর অন্যতম।

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর আইনজীবী আজমালুল হোসেন বলেছেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কিছুই লুকানোর নেই এবং তিনি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। এদিকে, নতুন সরকারের মুখোমুখি হওয়া সাবেক সরকারের আরও অনেক মন্ত্রীও দাবি করেছেন, তারা নির্দোষ এবং তদন্তের মাধ্যমে তা প্রমাণ হবে।

যুক্তরাজ্য সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।