রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় গত ৫ আগস্ট দোকান, ফার্নিচার কারখানা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করে এর বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ফরিদ আহমদ।
তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট তাদের দখলে থাকা পাঁচটি দোকান ও একটি ফার্নিচার কারখানা প্রতিপক্ষের লোকজন ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট তিনি ১২ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান।
তবে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে কোনো দলিল না থাকা সত্ত্বেও পৈত্রিক জমিগুলো জোরপূর্বক দখলে নিয়ে ভোগদখল করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন চন্দ্রঘোনার নূর আহমেদ সওদাগরের সন্তানরা।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ফরিদ আহমদ জানান, তিনি ৬ শতক জায়গা ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ থেকে লীজ নেন।
তবে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন নূর আহমেদ সওদাগরের ছেলে মো. গোলাম মোস্তফা এবং তার ছোট ভাই মো. সলিমুল্লাহ। এতে তারা দাবি করেন, ফরিদ আহমদের দেয়া বক্তব্যটি বানোয়াট, মিথ্যা এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। তিনি ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ থেকে যে জায়গা লীজ নেন, সেই একই জায়গা ২০০৮ সালে কীভাবে আমমোক্তারনামা মূলে মালিক হন। আবার ২০০৮ সাল থেকে ১৬ বছর সে ওই জমি রেজিস্ট্রি মূলে মালিক হতে পারেননি কেন, এমন প্রশ্ন তোলেন তারা।
মো. সলিমুল্লাহ বলেন, “আমার বাবা ১৯৬৫ এবং ১৯৬৬ সালে দুটি দলিল মূলে আরএস খতিয়ানে জেবল হোসেনের ছেলে আইয়ুব আলীর কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। জরিপে আমার বাবার নামে মূল বিএস ৭০৬ নং খতিয়ান লিপিবদ্ধ আছে। আমার বাবা ২০১৭ সালে মারা যান। এর আগে তিনি আমাদের দানপত্র করে গেছেন। এখন জমিগুলো আমাদের ৮ ভাইয়ের নামে জরিপ করা আছে। তিনি যে গোডাউনের কথা বলছেন, সেটি আমাদের প্রকৃত দলিলের জায়গা। আমাদের দলিল, খতিয়ান সব আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের জায়গাটি তারা জোরপূর্বক দখল করে ভোগদখল করেছে। সম্প্রতি আমরা আমাদের জায়গাটি দখলমুক্ত করি। সেখানে আমরা ঘর করেছি, ৫টি দোকান রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ফরিদ আহমদের ছোট ভাই চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে ভূমি দস্যুতার বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। চন্দ্রঘোনা এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েক একর জমি, চাষি ফার্মের বিস্তৃর্ণ খাস জমি ও মিশন এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি জবর দখল করেছে। এখন জাল ও বানোয়াট দলিল সৃজন করে এবং মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আমাদের নিষ্কণ্টক ৬ শতক জমি দখলের পায়তারা করছে।”