ঢাকা : চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র নাথকে অবশেষে শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। নিজ ছেলের এইচএসসি ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ছেলের ফলাফল বাতিল করে জালিয়াতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা বিষয়ক শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শতরুপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালককে চিঠিটি পাঠানো হয়।
এর আগে ৪ আগস্ট নারায়ন চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ফলাফল জালিয়াতির তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে। প্রতিবেদন জমা হওয়ার দেড় মাস পর ব্যবস্থা নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক এই কর্তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে মন্ত্রণালয়ের হাত ঘুরে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় নিজের ছেলেকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের তদন্তভার যায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কাছে। গত ৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। বর্তমানে নারায়ন চন্দ্র নাথ সংস্থাটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে কর্মরত।
তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একই বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিধিমতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। ওই চিঠির নির্দেশনায় বলা হয়— ‘মাউশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক নারায়ন চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ফলাফল জালিয়াতি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এই জালিয়াতিতে তার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’