শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১

চট্টগ্রাম ওয়াসার স্মার্ট মিটার প্রকল্প: পানির অপচয় রোধে নতুন উদ্যোগ

চান্দগাঁও ও আগ্রাবাদে ৩ হাজার স্মার্ট মিটার বসানো হচ্ছে

প্রকাশিতঃ ৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৮:৪২ পূর্বাহ্ন


একুশে প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম ওয়াসা পাইলট প্রকল্পের আওতায় স্মার্ট মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। প্রথম পর্যায়ে নগরীর চান্দগাঁও ও আগ্রাবাদ এলাকায় মোট ৩ হাজার স্মার্ট মিটার বসানো হচ্ছে। এর মধ্যে চান্দগাঁওয়ে ১৫০০ এবং আগ্রাবাদে ১৫০০ মিটার স্থাপন করা হবে।

ইতোমধ্যে চান্দগাঁও এলাকায় ৭০০ স্মার্ট মিটার বসানো সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক কাজী শহিদুল ইসলাম।

ওয়াসার সূত্রে জানা গেছে, পানির অপচয় রোধ ও সঠিক বিল প্রদানের জন্য এই স্মার্ট মিটার বসানো হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠান এই কাজ পেয়েছে, এবং স্থানীয়ভাবে পদ্মা স্মার্ট টেকনোলজি এটি বাস্তবায়ন করছে। স্মার্ট মিটার ব্যবহারের ফলে মিটার রিডারদের দ্বারা সৃষ্ট সমস্যাগুলি এড়ানো সম্ভব হবে। ডিজিটাল মিটারগুলো সরাসরি রিডিং পাঠাবে ওয়াসার সেন্ট্রাল সার্ভারে, ফলে হিউম্যান টাচের প্রয়োজন পড়বে না।

পাইলট প্রকল্পের সফলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

২০২০ সালের শুরুর দিকে লোরা গেটওয়ে ভিত্তিক ৫টি স্মার্ট মিটার পরীক্ষামূলকভাবে নগরীর লালখানবাজারের হাইলেভেল রোড ও বাঘঘোনায় বসানো হয়। সফলতার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম ওয়াসা এই পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়। স্মার্ট মিটারগুলো বুয়েটে পরীক্ষার পর ইতিবাচক প্রতিবেদন পাওয়া যায়।

ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক কাজী শহিদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে পানির অপচয় ও অবৈধ সংযোগের সমস্যা দূর হবে এবং ওয়াসার রাজস্বও বাড়বে।

মিটার স্থাপন ও মনিটরিং

স্মার্ট মিটার স্থাপনের দায়িত্বে ছিলেন সিস্টেম এনালিস্ট শফিকুল বাশার। তবে তিনি শিক্ষা ছুটিতে থাকায় বর্তমানে কম্পিউটার প্রোগ্রামার লুৎফি জাহান এই প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করছেন।

রাজস্ব বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, একজন মিটার পরিদর্শকের জন্য ২ থেকে আড়াই হাজার মিটারের তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত কঠিন। স্মার্ট মিটার প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে এই সমস্যা সমাধান হবে।

ওয়াসার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

চট্টগ্রাম ওয়াসার ৪২ জন মিটার পরিদর্শক দিয়ে প্রায় ৭৮ হাজার সংযোগের বিল তৈরি করা হয়। এর ফলে অনেক সময় পানির সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। এছাড়া মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে কম রিডিং দেখানো, বেশি রিডিং দেখানো এবং টাকার বিনিময়ে অবৈধ সংযোগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

স্মার্ট মিটার ব্যবহার শুরু হলে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা।