
চট্টগ্রাম : আজ ১১ রবিউস সানি, পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। হিজরি ৫৬১ সালের এই দিনে বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক ও সুফি সাধক হযরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) ইন্তেকাল করেন।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন শহীদ নগর গাউসিয়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা এবং ১৩ হাজার মানুষের মাঝে শিরনি বিতরণ করা হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন বলেন, “সারাবিশ্বে সুফিবাদের প্রতিষ্ঠাতা হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) স্মরণে আমরা প্রতিবছর দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে থাকি।”
পূর্ব শহীদ নগর সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের জানান, মহান এই দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি ২০টি বড় হাঁড়িতে চারদানা শিরনি রান্না করে এলাকার ১৩ হাজার মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ২৮০ কেজি চাউল, ১ হাজার ৩২০ কেজি গরুর দুধ, ৩৩০ কেজি মিছিরি এবং ৯০ কেজি ঘি দিয়ে চারদানা শিরনি তৈরি করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা হযরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা বলেন, হযরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) ছিলেন একজন মহান ইসলামী পণ্ডিত, সুফি সাধক এবং আধ্যাত্মিক নেতা। ১১১৬ সালে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং বিশেষত সুফিবাদে তার অবদান ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার জন্য বিখ্যাত। তাকে ‘গাউসুল আজম’ বা ‘সর্বোচ্চ সাহায্যকারী’ হিসেবেও ডাকা হয়। তার শিক্ষা অনুসারে, আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস, বিনম্রতা এবং মানবতার সেবা ছিল জীবনের মূল লক্ষ্য। ১১৬৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৮৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি।
