ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুমের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা


চট্টগ্রাম : মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর-এ মওলা মনজিলের উদ্যোগে “পবিত্র ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম – এর তাৎপর্য” শীর্ষক আলোচনা, মিলাদ ও জিকিরে সেমা মাহফিল শনিবার শোকর-এ মওলা মনজিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সিনিয়র সদস্য, বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী লেখক ও গবেষক মুহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন এবং বারমাসিয়া খাজা গরীবে নেওয়াজ (রঃ) জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ আবু তাহের মাইজভাণ্ডারী।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশনের পর মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ ওমর ফারুক।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে “পবিত্র ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম” – এর তাৎপর্য এবং পীরানে পীর গাউসুল আজম আব্দুল কাদের জীলানী (কঃ)-এর জীবনী আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “রাসূল (দঃ) দুনিয়াবাসীর নিকট আহলে বাইয়াতের প্রতি মুয়াদ্দত (ভালোবাসা) চেয়েছেন। আহলে বাইয়াত মানে পাক পাঞ্জাতন। যে পাক পাঞ্জাতনকে স্বীকার করবে না সে ইসলামের শত্রু।”

তিনি আরও বলেন, “কারবালায় এজিদ বাহিনীতে সাত হাজার হাফেজ ও তিন হাজার মুফতি থাকা সত্ত্বেও তারা শহীদ করেছে হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) তথা ইসলামকে। কিন্তু শহীদ করেও হোসাইনী শক্তিকে দমিয়ে রাখা যায় নি। বেলায়তী শক্তি, আহমদী শক্তি মানেই হোসাইনী শক্তি। এই হোসাইনী, আহমদী শক্তি অর্থাৎ বেলায়তের জন্য আমাদের আহলে বাইয়াতে রাসূল (দঃ) তথা মওলা হুজুর মাইজভাণ্ডারী (মঃজিঃআঃ) কেবলা কাবার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য থাকতে হবে।”

মাহফিলে সংগঠনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মাওলানা মুহাম্মদ আবু তাহের মাইজভাণ্ডারীর পরিচালনায় মিলাদ মাহফিলের পর প্রধান অতিথির দেশ ও মানবজাতির কল্যাণে মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি হয়।

পরবর্তীতে সংগঠনের সদস্য মুহাম্মদ নুরুল আলম রনির পরিচালনায় জিকিরে সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।