চট্টগ্রাম: রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে গত তিন দিনে ৩৫ জন কর্মচারীকে বিভিন্ন ডিপোতে বদলি করা হয়েছে। এই বদলি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা সুবিধা ভোগ করেছেন, তাদেরকে পছন্দমতো পদায়ন করা হয়েছে। এমনকি তেল চুরির সাথে জড়িতদেরও ডিপোতে বদলি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (২৭ অক্টোবর) এই ৩৫ জন কর্মচারীর বদলির নথি যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমোদন পায়।
অভিযোগ আছে, এই বদলি প্রক্রিয়ায় মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে চাহিদামতো জায়গায় বদলি দেওয়া হয়েছে। যদিও যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের মানব সম্পদ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মো. মাসুদুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “এই বদলির তালিকাটি অপারেশন বিভাগ থেকে তৈরি করা হয়। এর বেশি কিছু আমি জানি না।”
সূত্র জানায়, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের চাঁদপুর ডিপোতে তেল চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত উর্ধ্বতন সহকারী মো. মহসিন পাটোয়ারীকে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের আগ্রাবাদ হেড অফিসে বদলি করে আনা হয়। সম্প্রতি তাকে আবার উর্ধ্বতন সহকারী হিসেবে বরিশাল ডিপোতে বদলি করা হয়েছে।
একইভাবে আওয়ামী লীগের নেতা ঊর্ধ্বতন সহকারী মোহাম্মদ সেকান্দর মিয়াকে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড চট্টগ্রাম অফিস থেকে সিলেট ডিপোতে উর্ধ্বতন সহকারী হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ সেকান্দর মিয়া কোন মন্তব্য না করে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে আবার ফোন করলে তিনি আর ধরেননি।
জানা গেছে, মোহাম্মদ সেকান্দর মিয়া ছাত্রলীগের পতেঙ্গা থানার সভাপতি ছিলেন এবং কর্মজীবনে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
এই বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, “এটা নিয়মিত বদলির অংশ। আমি এর বাইরে কিছু জানি না।”