চট্টগ্রাম : ‘বই মানুষের অন্তরচক্ষু খুলে দেয়, জ্ঞান ও বুদ্ধিকে বিকশিত করে এবং মানুষ নিজে আলোকিত হয় ও সমাজকেও আলোকিত করে। উৎকর্ষের বিবেচনায় বইপাঠ নানা রকম হতে পারে। কেউ হয়তো প্রকৃতিবিষয়ক একটি বই পাঠ করে যে জ্ঞান আহরণ করেন, অন্যজন ধর্মবিষয়ক বই পাঠ করে অন্যতর জ্ঞান সঞ্চয় করেন। আবার কেউ হয়তো বিজ্ঞানবিষয়ক বই পড়ে বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে পড়েন। আবার এসব বিষয় একসঙ্গেও পাঠ করা যায়। কেননা, মানুষের জ্ঞান শুধু প্রকৃতি, ধর্ম কিংবা বিজ্ঞানবিষয়ক বইপাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বস্তুত জ্ঞানের কোনো সীমা নেই, চৌহদ্দি নেই। জ্ঞান, অসীম অফুরন্ত কোনো পাঠে বা দানে হ্রাস পায় না, বরং যতজ্ঞান লাভ করা যায় ততই মনের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। মহান ব্যক্তিবর্গ আমাদের জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বই রচনা করে গিয়েছেন। সেই সব মহান লেখক ও লেখনীর সাথে মেল-বন্ধন রচনা করে বইমেলা। বই সংস্কৃতিবান মানুষ সৃষ্টি করতে পারে, একটা জ্ঞানবান সমাজও গড়ে তুলতে পারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারে-সে বই-ই আমাদের নিত্য পাঠ করা উচিত। সে জন্য সবাই সময় করে একবার হলেও বইমেলায় যাবেন। বই কিনবেন। কেননা, বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।’
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীনের ব্যবস্থাপনায় ৮ দিনব্যাপি বইমেলা ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্বলিত চিত্র প্রদর্শনী উপলক্ষে রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাব উদ্দীন চৌধুরী। স উ ম আবদুস সামাদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মাওলানা এম এ মতিন, সংগঠক সাইয়্যেদ মুজাফ্ফর আহমদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দীন চৌধুরী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মুরশেদুল হক, আল-আমিন বারীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইছমাঈল নোমানী, কাট্টলী সিটি কর্পোরেশন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু তালেব বেলাল, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ জালাল উদ্দিন আল-আযহারী, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, খোদ্দামুল মুসলেমীন ইউ.এ.ই কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল আমিন চৌধুরী, ইউ. এ. ই নির্বাহী সদস্য ছালামত উল্লাহ বাবুল, ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সেক্রেটারি আবদুর রহিম, মাসিক প্রথম বসন্তের প্রকাশক ফজলুল করিম তালুকদার, সংগঠক নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মাষ্টার আবুল হোসেন, হিজরি নববর্ষ উদযাপন কমিটি মহাসচিব এনামুল হক ছিদ্দিকী, সংগঠক নুরুল্লাহ রায়হান খান, সৈয়্যদ মুহাম্মদ খোবাইব, মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, খ. ম. নজরুল হুদা, দিদারুল ইসলাম কাদেরী, এম সাইফুল ইসলাম নেজামী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ডিসেম্বর’১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ’১৭ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মুসলিম হল ও সংলগ্ন ময়দানে ৮ দিনব্যাপি বইমেলা ও চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।