চট্টগ্রাম টেস্ট: ‘ফ্ল্যাট’ উইকেটে টার্নের আশা, একাদশ নিয়ে কৌশলী সিমন্স


জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে প্রথম টেস্ট হারের পর এবার চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নামছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরুর আগে আলোচনায় কেন্দ্রবিন্দুতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট ও বাংলাদেশ দলের একাদশ। পিচ কেমন আচরণ করবে, স্পিনাররা সুবিধা পাবেন নাকি পেসাররা—তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ।

ম্যাচের আগের দিন রোববার সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ ফিল সিমন্স জানালেন উইকেট নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ ও একাদশ ভাবনা। চট্টগ্রামের উইকেটকে ‘দারুণ’, ‘হার্ড ও ফ্ল্যাট’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার দল এর সুবিধা নিতে পারবে। তবে একইসাথে কিছুটা টার্ন পেলে তা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে বলেও মনে করেন তিনি। সাধারণত চট্টগ্রামের উইকেট কিছুটা ধীরগতির হয়ে থাকে।

সিলেটের কন্ডিশন থেকে চট্টগ্রামের পরিস্থিতি ভিন্ন হওয়ায় একাদশে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। স্কোয়াডে থাকা চার স্পিনার ও দুই পেসারের মধ্যে চূড়ান্ত একাদশে কম্বিনেশন কী হবে, তা অবশ্য এখনই খোলাসা করেননি সিমন্স। বাড়তি স্পিনার খেলানো হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “হয় ৩ পেসার, ২ স্পিনার নয়ত ৩ স্পিনার ২ পেসার (এরকম একাদশ) হবে। তবে নির্দিষ্ট করে এখনই বলতে পারছি না। ফাইনাল সিদ্ধান্ত পরে নিব আমরা।”

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে যাওয়ায় তরুণ পেসার নাহিদ রানাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এতে দলের পেস আক্রমণ দুর্বল হলো কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিমন্স কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, “শক্তি হারিয়েছি বলব না। গতি হারিয়েছি বলতে পারেন, রানার চলে যাওয়ার ফলে। এখানে স্কিলড বোলারও আছে।” তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, এখানকার পেসাররা দলের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম, বিশেষ করে যদি উইকেট থেকে কিছুটা টার্ন আদায় করা যায়।

প্রথম টেস্টে হারের পর সিরিজে সমতা ফেরাতে চট্টগ্রাম টেস্টে জয় ভিন্ন অন্য কিছুই ভাবছে না বাংলাদেশ। উইকেটের চরিত্র এবং প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা বিবেচনা করে সেরা একাদশ সাজানোই এখন টিম ম্যানেজমেন্টের প্রধান লক্ষ্য।