রাউজানে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি: এসপি নিজে টহল দিচ্ছেন, স্থানীয়দের স্বস্তি


চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে এবার মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু। তাঁর নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তার, কিশোর গ্যাং রোধসহ অপরাধ তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশি টহল ও অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে এসপি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশেষ পুলিশের একটি টিমকে রাউজানে টহল দিতে দেখা যায়। জানা যায়, পুলিশ সুপার এবং রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ গাড়িবহর রাউজান থানা থেকে বের হয়ে জলিল নগর, কদলপুর ও রাউজান সদর ইউনিয়নের পাহাড়ী অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় টহল দেন।

পুলিশের এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য দেওয়া এই টহলে জনমনে সাহস বৃদ্ধি এবং পুলিশের প্রতি আস্থা ফিরে এসেছে বলে তারা জানান। যদিও অপরাধীরা গা ঢাকা দিয়েছে, পুলিশ সুপারের প্রতিনিয়ত টহল জনমনে স্বস্তি এবং আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। তারা আরও বলেন, পুলিশের তৎপরতা এভাবে চলতে থাকলে অপরাধীরা পার পাবে না এবং এধরণের কার্যক্রমের ফলে গত ২০/২৫ দিন যাবৎ বড় ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। কার্যক্রম অব্যহত রাখা জরুরি বলেও স্থানীয়রা জানান।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া জানিয়েছেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে। প্রতিদিন দিন-রাতে সমান তালে পুলিশের টহল ও অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে পুলিশ কাজ করছে এবং কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। যেসব এলাকায় কিশোর গ্যাং’র দৌরাত্ম বেড়েছে সেসব এলাকা চিহ্নিত করে টহলের পাশাপাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। তাছাড়া তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীসহ সব মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেছেন, যেসকল এলাকায় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম বেড়েছে সেসব এলাকার সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রণয়ন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ বা অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা চট্টগ্রামের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।