বিপ্লবীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে : শাহজাহান চৌধুরী


“ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র সমাজই ছিল ফ্যাসিবাদ বিদায়ের মূল চালিকা শক্তি ও নায়ক।”—এই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।

আজ শনিবার (১৭ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, বর্তমানে একটি মহল বিপ্লবীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি মনে করেন, এই ষড়যন্ত্র সফল হলে কায়েমি স্বার্থবাদীরা আবারও ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসিত করার সুযোগ পাবে। কিন্তু তিনি উল্লেখ করেন, ছাত্ররা মত-পথের দিক থেকে ভিন্ন হলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তারা একতাবদ্ধ।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পতিত পূর্ববর্তী স্বৈরাচার গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। চারটি পত্রিকা ছাড়া সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে সংবাদপত্রের কন্ঠ রোধ করেছিল। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছর পর্যন্ত স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে একটি পার্শ্ববর্তী দেশের গোলামীতে আবদ্ধ করেছিল। দীর্ঘ দিন তারা দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাই বিক্ষুদ্ধ জনতার আন্দোলনের মুখে তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তারা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চালিয়েছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

খুন, সন্ত্রাস ও মানবতা বিরোধী অপরাধের কারণে পূর্ববর্তী শাসক দল, ছাত্রলীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনসমূহ আজ নিষিদ্ধ হয়েছে বলেও শাহজাহান চৌধুরী দাবি করেন। তাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে তিনি পুনরায় জোর দেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই শহীদ স্মৃতি হলে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। উক্ত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহনওয়াজও বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও সভায় বক্তব্য দেন।