চট্টগ্রাম বন্দর ও করিডর ইস্যুতে প্রয়োজনে রাজপথে নামার ঘোষণা নুরের


চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশিদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত, রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়ার কথা চিন্তা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মানতে নারাজ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। প্রয়োজনে রাজপথে লড়াই করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

শনিবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

ফেসবুক পোস্টে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, পরিষ্কার কথা; ১/ বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশীদের হাতে কোনভাবেই তুলে দেয়া যাবে না। ২/ করিডরের নামে খাল কেটে কুমির আনা যাবে না।

পোস্টের শেষ অংশে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘দল নয়, মত নয়, সবার আগে বাংলাদেশ। দেশের স্বার্থে কোন ছাড় নয়, প্রয়োজনে রাজপথে নতুন লড়াই শুরু হবে।’

এর আগে, গত ১৪ মে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে সেখানে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে উন্নীত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বের খ্যাতিসম্পন্ন বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। যদি সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের আশা। এটি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। কিন্তু যদি হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়, কোনো ডাক্তারই তা আর ভালো করতে পারে না। তাই একে বিশ্বমানের করতে হবে। বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বৈশ্বিক পর্যায়ের শীর্ষ সংস্থাগুলোকে আগেও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি।’

তিনি তখন আরও বলেন, ‘এই হৃৎপিণ্ডকে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এজন্য আমি নেপাল ও ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স) কথা বলেছি। যদি তারা এতে যুক্ত হয়, তারা উপকৃত হবে, আমরাও হবো। যারা যুক্ত হবে না, তারা পিছিয়ে পড়বে।’