
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশে মাঝারি থেকে বড় ধরনের একটি বন্যার আশঙ্কা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত ৪০ বছরের তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাস বলছে, এমন বন্যা হলে দেশের ভৌত অবকাঠামোর যে ক্ষতি হবে, তার আর্থিক পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩.৮৮ শতাংশের সমান হতে পারে।
‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামষ্টিক-আর্থিক ঝুঁকি’ সংক্রান্ত অর্থ বিভাগের এক পর্যবেক্ষণে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার প্রভাবে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.৪৮ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। ফলে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ শতাংশ থেকে কমে ৫.১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
অর্থ বিভাগের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ত্রাণ কার্যক্রম ও ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্গঠনে সরকারের ব্যয় বাড়বে, যা বাজেট ঘাটতি এবং ঋণ-জিডিপি অনুপাতকেও বাড়িয়ে দেবে।
এই পূর্বাভাসটি ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল’ (আইএমএফ)-এর সহায়তায় তৈরি ‘ক্লাইমেট ম্যাক্রো-ফ্রেমওয়ার্ক টুলকিট (সিএমটি)’ ব্যবহার করে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগ।
‘বিশ্ব ঝুঁকি সূচক ২০২৪’ অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় বাংলাদেশ বিশ্বের ৯ম সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশের নিচু ভূমি, ঘন জনসংখ্যা ও কৃষির ওপর নির্ভরতা এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি ‘দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন কৌশলপত্র’ প্রণয়ন করেছে এবং জলবায়ু সহনশীলতা তৈরির জন্য প্রতি বছর বাজেটের ৬ থেকে ৭ শতাংশ ব্যয় করে থাকে।
