মানবতা অর্জনে সুফিবাদের চর্চা প্রয়োজন: মাইজভাণ্ডারী সেমিনারে বক্তারা


পূর্ণ মানবতা অর্জন এবং আলোকিত সমাজ গঠনের জন্য সুফিবাদের চর্চা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন গবেষক ও শিক্ষাবিদরা।

শনিবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আয়োজিত এক সেমিনারে তারা এ কথা বলেন। মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর জন্মদ্বিশতবার্ষিকী উপলক্ষে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিরি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারীর পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিরি’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নোয়াখালীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন রায়হান। তিনি বলেন, “বর্তমান সমাজে আলোকিত বা মানবিক মানুষ খুবই কম। যদি প্রকৃত মানবিক চেতনায় মানুষ গড়ে উঠত, তবে আজ পৃথিবীজুড়ে এত যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সহিংসতা থাকত না। সুফিরা ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছেন।”

সহকারী অধ্যাপক মেজবাউল আলম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল আলম এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরে আলম।

আলোচকরা বলেন, গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর আধ্যাত্মিক জীবনাদর্শ শুধু তরিকতের অনুসারীদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবতার মুক্তির পথ।