
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ব্যালট পেপারে ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে, যার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট। অর্থাৎ, প্রতিটি ভোট দিতে একজন শিক্ষার্থী গড়ে ১৫ সেকেন্ড করে সময় পাবেন।
তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটাররা পর্যাপ্ত সময় নিয়েই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
ভোটের পদ্ধতি ও স্বচ্ছতা
এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ব্যালট পেপারে এবং গণনা করা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) মেশিনে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, “অ্যানালগ পদ্ধতিতে গণনা করলে অনেক সময় লাগবে, তাই স্বচ্ছতা ও দ্রুততার জন্য আমরা ওএমআর পদ্ধতি ব্যবহার করছি।”
তিনি আরও জানান, গোপন কক্ষ ছাড়া সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে এবং প্রতিটি ব্যালট পেপারে একটি বিশেষ নিরাপত্তা কোড থাকবে, যা জাল ব্যালট শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
ক্যাম্পাসজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও ক্যাম্পাসে টহল দিচ্ছেন।
নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, বিজিবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী, রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, “ক্যাম্পাসে পুলিশ-র্যাব মিলিয়ে এক হাজারের মতো ফোর্স মোতায়েন আছে। র্যাবের আটটি টিম টহল দিচ্ছে। আশা করি, শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।” লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন উভয়েই একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
