চাকসু নির্বাচন: আঙুলের কালি মুছে যাওয়ায় জাল ভোটের শঙ্কা


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর আঙুলে লাগানো অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জাল ভোটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা।

ছাত্রদল, শিবিরসহ কয়েকটি প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবন কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় অভিযোগ করে বলেন, “ভোটারদের আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে। এতে পুনরায় ভোট দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমি নিজে ভোট দিয়েছি, কিন্তু আমার আঙুলের কালিও মুছে গেছে। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাব।”

একই ধরনের অভিযোগ করেছেন শিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছিল এমন কালি ব্যবহার করা হবে যা কয়েকদিনেও মুছবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আঙুলের কালি কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে। নির্বাচনের শুরুতেই এটি শঙ্কার বিষয়।”

ক্যাম্পাসে সরেজমিনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও কলা ভবনের কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে একই চিত্র দেখা গেছে। কয়েকজন পুরুষ ভোটারের আঙুলের কালি মুছে গেলেও নারী ভোটারদের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায়নি।

‘দ্রোহ পর্ষদ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রিজু লক্ষী অবরোধ ও জিএস ইফাজ উদ্দিন আহমেদ ইমুও অভিযোগ করেন, তারা কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে কোথাও অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে দেখেননি। তাদের মতে, এর ফলে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ থেকে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, “কালি উঠে গেলেও ভোটারের নাম তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হচ্ছে। ফলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।”

উল্লেখ্য, দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক পর অনুষ্ঠিত এই চাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬টি পদে ৪১৫ জন এবং ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের বিভিন্ন পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।