
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ কম। একই সঙ্গে কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন। এরপরই একযোগে দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফলাফল উন্মুক্ত করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬০ জন। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের (১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন) তুলনায় ৭৬ হাজার ৮১৪ জন কম।
ফলাফল জানবেন যেভাবে
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উপায়ে তাদের ফল জানতে পারছেন। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) থেকেরোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল জানা যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের EIIN নম্বর ব্যবহার করে পুরো প্রতিষ্ঠানের ফলাফল ডাউনলোড করতে পারছে।
এছাড়াও, মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা HSC লিখে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, তারপর রোল নম্বর ও পরীক্ষার বছর (2025) লিখে 16222 নম্বরে পাঠিয়ে ফল জানতে পারছেন।
বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট
এবারের পাসের হার গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ। পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া এবং কঠোর মূল্যায়নকে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা গত ২৬ জুন শুরু হয়ে লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১৯ আগস্ট। এরপর ২১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
