
উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা—দুটোই আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। এ বছর পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৫২.৫৭ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭ জন, যা গতবারের (১০ হাজার ২৬৯ জন) তুলনায় প্রায় চার হাজার কম। গত বছর পাসের হার ছিল ৭০.৩২ শতাংশ, সে হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ। ফলাফলে এই ধসের পেছনে ইংরেজিতে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফলাফলের বিস্তারিত
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা থেকে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন, যার মধ্যে পাস করেছেন ৫৩ হাজার ৫৬০ জন।
এ বছরও পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে। ছাত্রীদের পাসের হার ৫৫.৪৯ শতাংশ এবং ছাত্রদের ৪৮.৯৫ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার সর্বোচ্চ ৭৮.৭৫ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫৫.৩০ শতাংশ এবং মানবিক বিভাগে সর্বনিম্ন ৩৭.০৮ শতাংশ।
শূন্য ও শতভাগ পাসের কলেজ
এ বছর বোর্ডের অধীনে থাকা পাঁচটি কলেজে পাসের হার শূন্য। কলেজগুলো হলো—চট্টগ্রাম নগরের মেরন সান কলেজ, সরাইপাড়া সিটি করপোরেশন কলেজ, মেরিট বাংলাদেশ কলেজ, চট্টগ্রাম জিলা কলেজ এবং চকরিয়ার চকরিয়া কমার্স কলেজ। তবে এই পাঁচটি কলেজ থেকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৯ জন।
অন্যদিকে, আটটি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে। এগুলো হলো—নগরের ক্যামব্রিয়ান কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নেভি অ্যাঙ্কোরেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ; সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ ও বাড়বকুণ্ড উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ; আনোয়ারার কাফকো স্কুল অ্যান্ড কলেজ; রাঙামাটির বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কাপ্তাই এবং বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো কলেজ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছরওয়ার আলম বলেন, “যে পাঁচটি কলেজ থেকে কেউ পাস করেনি, তাদের কাছে এ বিষয়ে কৈফিয়ত চাওয়া হবে।” মোহাম্মদ ছরওয়ার আলম জানান, ফলাফলের সার্বিক বিষয় নিয়ে বোর্ড আরও বিশ্লেষণ করবে।
