
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিক বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং বাঁশখালীতে আর কোনো ‘পরিবারতন্ত্র’ চলতে দেওয়া হবে না।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের প্রেমবাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ও ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মফিজুর রহমান আশিক বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান শুধু বাঁশখালী নয়, সারা বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটা বড় আন্দোলন। এই আন্দোলনের ভয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার স্টাবলিশমেন্ট ভেঙে শেখ হাসিনা চুরমার হয়ে গিয়েছিল।”
তিনি বলেন, “ঠিক একইভাবে যদি কেউ তার পরিবারে বাবা এমপি ছিল, দাদা এমপি ছিল সেই কথা বলে কেউ যদি আবার নমিনেশন নেয়… তবে সে ধারণা ভুল হবে। আমি পরিবারতন্ত্রকে পরিবর্তন করতে এসেছি।”
মফিজুর রহমান আশিক জুলাই অভ্যুত্থানকে ‘এক পরিবারতান্ত্রিক স্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে’ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, “কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ না নিয়ে, শুধু বাপ-দাদার নাম ভাঙিয়ে বিএনপির মনোনয়ন কেউ পেতে পারে না।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের সেই চেয়ারম্যান-এমপিরা, যারা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার ফাঁসি দাবি করেছে এবং কটূক্তি করেছে—তাদের যেসব বিএনপি নেতা সেফ এক্সিট দিয়েছে কিংবা মামলার আসামি হতে দেয়নি, তারা কোনোভাবেই বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য নয়।”
নিজেকে ‘জুলাই আন্দোলনের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে ওঠা ছাত্রনেতা হিসেবে দাবি করে আশিক বাঁশখালীর উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং দুর্নীতি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
কর্মসূচির আগে মফিজুর রহমান আশিকের নেতৃত্বে একটি মিছিল নাপোড়া বাজার থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেমবাজারে গিয়ে শেষ হয়।
