মাশুল বৃদ্ধি: চট্টগ্রাম বন্দরে অচল প্রাইভেট ট্রেইলার পরিবহন


চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী যানবাহন প্রবেশের মাশুল (ফি) চারগুণ বাড়ানোর প্রতিবাদে ব্যক্তিমালিকানাধীন ট্রেইলার চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা, যার ফলে কনটেইনার পরিবহন কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর থেকে বন্দরের নিরাপত্তা পাস ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা কার্যকর করার পর থেকেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর ফলে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে, যদিও বিভিন্ন অফডক বা ডিপোর নিজস্ব ট্রেইলারগুলো এখনো সীমিত পরিসরে চলাচল করছে।

চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন জানান, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মবিরতি বা ধর্মঘট নয়। তিনি বলেন, “হঠাৎ করে ফি বাড়ানোয় মালিকেরা আপাতত গাড়ি চালাচ্ছেন না। এই অতিরিক্ত খরচ শ্রমিক দেবেন, নাকি মালিক দেবেন, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তাই শনিবার সকাল থেকে বন্দরে কোনো পরিবহন প্রবেশ করবে না।”

মোহাম্মদ হোসেন আরও জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে বন্দরের পরিচালকের (নিরাপত্তা) সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বন্দর চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে ফিরলে পুনরায় আলোচনার আশা করছেন। তাদের সংগঠনের ট্রেইলার চলাচল গত ১৪ অক্টোবর রাত থেকেই বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, “প্রাইম মুভার মালিকদের ট্রেইলার মূলত আন্তঃজেলা রুটে চলে। তাদের গাড়ি না চালানোর কারণে কিছু এলাকায় ডিপোর ট্রেইলার চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে।”

এদিকে, বন্দরের এই অচলাবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। মো. সেলিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা বন্দর থেকে পণ্য তুলতে পারছি না। মালামাল পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে। দ্রুত সমাধান না হলে আমদানিকারক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।”