কক্সবাজারের চকরিয়ার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নতুনকুঁড়ি মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫’।
‘সাহারবিল ইউনিক ফাউন্ডেশন’ নামে একটি স্থানীয় সংগঠনের আয়োজনে শুক্রবার সকালে উপজেলার সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয় ও পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট মো. সালাহ উদ্দিন কাদের। প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন সাহারবিল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, কেন্দ্র সচিব ছিলেন জনতা ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল রানা এবং হল সুপারের দায়িত্বে ছিলেন চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ অফিসার লুৎফুর রহমান।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফয়সল উদ্দিন আহমদ, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম, চকরিয়া উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা জেবুন্নেছা জামান, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মো. হাবিবুল্লাহ মুনিরী ও শব্বীর আহমদ ওসমানী, শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মো. শাহাব উদ্দিন, ব্যাংকার মো. মহসীন আনোয়ার, বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরুপম দাশ, ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দীন এবং সাহারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন কাদের বলেন, “চকরিয়ার গ্রামাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটাতেই এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন। আগামীতে আমরা ক্লাসের পরিধি আরও বাড়াতে পারব বলে আশা করছি।”
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, “সন্তানেরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিলে জ্ঞানের পরিধি বাড়ে। বার্ষিক পরীক্ষার আগে এ ধরনের বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন শিক্ষার্থীদের মেধা মনন বিকশিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”