লেবাননে ড্রোন হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের


দক্ষিণ লেবাননে ড্রোন হামলা চালিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নিহত আব্বাস হাসান কার্কিকে হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের লজিস্টিক প্রধান হিসেবে অভিহিত করেছে তারা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, এদিন ভোরে দক্ষিণ লেবাননের তুল শহরে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় কার্কিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়।

আইডিএফের বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, আব্বাস কার্কি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হিজবুল্লাহর যুদ্ধ সক্ষমতা পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং যুদ্ধের সময় ভেঙে পড়া অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে সহায়তা করছিলেন। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ লেবাননে অস্ত্র স্থানান্তর ও সংরক্ষণ পরিচালনা করতেন।

আইডিএফ আরও দাবি করেছে, কার্কির কর্মকাণ্ড ইসরায়েল এবং লেবাননের মধ্যেকার সমঝোতার লঙ্ঘন।

এদিকে, লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দক্ষিণ লেবাননের তুল শহরে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দুজন নিহত এবং দুজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর কোনো কমান্ডার ছিলেন কিনা, সে বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই সংঘাত

২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি আক্রমণ শুরু হয়, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়। লেবাননের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষ নিহত এবং ১৭ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৪ লাখ লেবানিস।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২০২৪ সালের নভেম্বরে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের কথা থাকলেও তারা কেবল আংশিক সেনা প্রত্যাহার করেছে এবং এখনও পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। একইসঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই দক্ষিণ লেবাননে আক্রমণ চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী।