
বঙ্গোপসাগরে আবারও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এই লঘুচাপটি তৈরি হয়। এর আগে গত সপ্তাহে সৃষ্ট আরেকটি লঘুচাপ দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
নতুন লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমান গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী এর প্রধান প্রভাব ভারতের উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ বা তামিলনাড়ু উপকূলে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। বাংলাদেশের উপকূলে এর আংশিক প্রভাব পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, “নতুন লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর প্রধান প্রভাব ভারতের উপকূলে পড়লেও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলেও আংশিক প্রভাব থাকতে পারে। বুধবারের দিকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।”
আরেক আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, লঘুচাপটি ভারতের দিকে অগ্রসর হলেও স্থলভাগে ওঠার পর পশ্চিমা বাতাসের প্রভাবে এর একটি অংশ মেঘ আকারে বাংলাদেশের দিকে আসতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ২৯ অক্টোবরের দিকে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ পূর্বাভাস দিয়েছেন, এই লঘুচাপের কারণে ২৯, ৩০ ও ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টি না থাকায় গরমের তীব্রতা বেড়েছে। নতুন লঘুচাপের প্রভাবে এই ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
