
দেশের সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে আহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) এই সদস্য শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যুবরণ করেন। গত ১২ অক্টোবর কক্সবাজার সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
বিজিবি জানায়, গত ১২ অক্টোবর নায়েক আক্তার হোসেন কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপিতে অস্থায়ী দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওইদিন সকালে পেয়ারাবুনিয়া সীমান্ত এলাকায় টহলরত অবস্থায় মাইন বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর আহত হন।
আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত রামু সেনানিবাসের সিএমএইচে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরদিন তাকে বিজিবি হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সকালে তার হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়।
উপস্থিত চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত বিন সিরাজের (ইন্টেনসিভিস্ট বিশেষজ্ঞ) তত্ত্বাবধানে টানা ৪৫ মিনিট সিপিআর (CPR) প্রদান করা হলেও তার হৃদ্স্পন্দন ফিরে আসেনি। দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যুতে বাহিনীজুড়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, “দেশের সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা এক সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালাম। নায়েক আক্তার হোসেনের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”
বিজিবির এই কর্মকর্তা শোক প্রকাশ করে আরও বলেন, “শহীদ নায়েক আক্তার হোসেন দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার আত্মার মাগফেরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়াত নায়েক আক্তার হোসেনের মরদেহ তার নিজ জেলা ভোলার দৌলতখানে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হবে।
