‘মেরুদণ্ডে স্থায়ী ক্ষত’ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে আশিক, চাইলেন গুমের বিচার


দুই দফায় ‘গুম’ ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিক। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে তিনি নিজে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এই লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগপত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, র‍্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, সিটিটিসির তৎকালীন প্রধান আসাদুজ্জামান, পুলিশের ডিসি কামরুল হাসান ও এডিসি সৈয়দ নসরুল্লাহকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের আশিক বলেন, “আমি দুই দফায় গুমের শিকার হয়েছি। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে মিরপুর থেকে আমাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তুলে নেয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের অভিযোগে টানা দুই মাস আমাকে র‍্যাব-১ এ আটকে রেখে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়। বৈদ্যুতিক শকসহ নানা শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই ঘটনাটি সে সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “২০২২ সালে আবারও আমাকে তুলে নেয় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা। আজ আমি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দিয়েছি—তদন্তের পর আরও অনেকের নাম বেরিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি। কারা কারা আমাকে নির্যাতন করেছে, তার বিস্তারিত বর্ণনাও দিয়েছি।”

ভুক্তভোগী আশিক দাবি করেন, দুই দফায় গুম ও নির্যাতনের ফলে তার মেরুদণ্ডে স্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়েছে, যা এখনো তাকে ভোগাচ্ছে।

মফিজুর রহমান আশিক বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মনুর আলী জমিদার বাড়ীর মৃত আবদুল মান্নান সিকদারের ছেলে।