রাঙ্গুনিয়ায় হুম্মামকে ঘিরে ঐক্যের সুর, মনোনয়নের খবরে আনন্দ মিছিল


ঘোষণার ঘণ্টা বাজতেই যেন এক লহমায় বদলে গেল চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের রাজনৈতিক দৃশ্যপট। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় যখন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরীর নামটি ভেসে উঠলো, ঠিক সেই মুহূর্ত থেকেই ফেসবুকের দেয়াল ছাপিয়ে অভিনন্দনের বন্যা নামলো রাজপথে।

এটি নিছক কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা ছিল না; এটি ছিল রাঙ্গুনিয়া বিএনপিতে এক অভাবনীয় ঐক্যের সূচনালগ্ন। রাজনীতিতে যা সচরাচর দেখা যায় না, তা-ই ঘটলো। হুম্মাম কাদের চৌধুরীর মনোনয়ন পাওয়ার খবরে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তাটি এলো খোদ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছ থেকেই। এই আসনের অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও সব দ্বিধা ও প্রতিযোগিতা ভুলে গিয়ে মুহূর্তেই তাকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন।

উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “আলহামদুলিল্লাহ, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।” এই এক বাক্যেই যেন সব বিভেদের গুঞ্জন মিলিয়ে গেল। চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আওতাধীন সংসদীয় আসনসমূহের সকল মনোনীত প্রার্থীর জন্য তাঁরা নিঃশর্ত শুভকামনা জানিয়েছেন।

এই ভার্চুয়াল ঐক্যের উষ্ণতা রাজপথে নামতে সময় লাগেনি। হুম্মাম কাদের চৌধুরীর নাম ঘোষণার খবরটি পৌঁছানোর সাথে সাথেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দলের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন। এটি ছিল নিছক উল্লাস নয়, বরং একাট্টা হওয়ার শপথ। সবার মুখে তখন একই সুর, একই প্রত্যয়। তাঁদের ভাষ্য ছিল স্পষ্ট, “আমরা সবাই ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে এক হয়ে কাজ করবো।”

হুম্মাম কাদের চৌধুরীর মনোনয়ন প্রাপ্তি তাই শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতাই থাকলো না, এটি যেন হয়ে উঠলো দীর্ঘদিনের বিভেদ ভুলে রাঙ্গুনিয়া বিএনপিকে এক সুতোয় বাঁধার প্রথম শক্ত গিঁট।