ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ফটিকছড়ি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদী, ধুরুং, সাক্তা, লেলাং,বারমাসিয়া খালের কোল ঘেঁষে বিভিন্ন চরে উৎপাদিত হচ্ছে নানান ধরনের শীতকালীন ও বারমাসি সবজি। সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
গেল বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাতে ব্যাপক লোকসান হয়েছে কৃষকদের। নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার একর ধানক্ষেত ও ফসলি জমি। এবার সেই লোকসান কাটিয়ে উঠতে ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং, কাঞ্চন নগর, খিরাম, সুয়াবিল, নাজিরহাট হালদারকূল এলাকার কৃষকেরা বেগুন চাষে ঝুঁকেছেন। ফটিকছড়ির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চরে বেগুন আর মুলার চাষ করে অনেক কৃষক এখন স্বাবলম্বী।
জানা যায়, কাঞ্চন নগরে শীতকালীন সবজি হিসেবে এবার বেগুন আর মুলার চাষ করা হয় প্রায় ১শ ৮০ শত হেক্টর জমিতে। বেগুন আর মুলা চাষের পাশাপাশি, ধুরং ও হালদা খালের পাড়ের চরে স্থানীয় কৃষকরা শীতের মৌসুমে আলু, মরিচ, কপি, শসা ইত্যাদি সবজি চাষ করে থাকেন।
কাঞ্চননগর ইউনিয়নের মধ্য কাঞ্চননগরের কৃষক মো. নেজাম উদ্দিন (নান্টু) বলেন, অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ২ হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষ করেছি। কাঞ্চুরহাট বাজারের আরেক কৃষক মুহাম্মদ রহিম বলেন, ৪ হেক্টর জমিতে বেগুন ও ২ হেক্টর জমিতে অন্যান্য সবজির চাষ করেছি। এই পর্যন্ত কত টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে জানতে চাইলে ৪-৫ লক্ষ টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে বলে জানান কৃষক রহিম।
চট্টগ্রাম শহর বহদ্দারহাট থেকে আসা সবজি ব্যবসায়ী ইদ্রিচ ও শহিদুল্লাহ জানান, আমরা প্রতিদিন এই বাজারে আসি। এখান থেকে সবজি কিনে চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন সবজি বাজারে সরবরাহ করে থাকি। এতে ক্রেতারাও তুলনামূলক সস্তায় সবজি কিনতে পারে।
পাইন্দং বেড়াজালীর বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতিদিন সকালে কৃষকরা জমি থেকে বেগুন তুলে বাজারে নিয়ে আসে। এখানে বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এসে বেগুন, মুলা ও অন্যান্য সবজি কিনে বিভিন্ন পাইকারি হাটে নিয়ে যান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় কৃষকরা জানান, স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা এসে তদারকি করলে ফলন আরো ভালো হতো।