বই কিনতে ও উপহার দিতে ভালোবাসে জার্মানরা৷ বড়দিন, জন্মদিন বা যে কোনো উপলক্ষ্যে উপহার দিতে হলে বইয়ের দিকেই হাত বাড়ান অনেকে৷
সব বই পড়া সম্ভব না হলেও শেলফে সাজিয়ে রাখতে পছন্দ করে জার্মানরা৷ গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনি, পশু পাখি বিষয়ক বই ইত্যাদিতে ঘর ভরে ফেলেন কেউ কেউ!
ছোটরাও কম যায় না৷ ছোটদের গল্প, উপন্যাস, কমিক ইত্যাদি বই দিয়ে বর্ণবৈচিত্র্যে ভরে ফেলে তাদের ছোট্ট ঘরগুলো৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম বইয়ের বাজার হিসেবে ধরা হয় জার্মানিকে৷ জায়গার অভাবে বই কেনা সম্ভব না হলে অনেকে ছোটেন লাইব্রেরির দিকে৷ পাবলিক লাইব্রেরি, ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি ছাড়াও বিভিন্ন শহরে পাড়ার লাইব্রেরিও থাকে৷ যে কোনোভাবেই হোক বইয়ের তৃষ্ণা মেটানো যায়৷
বইয়ের সংখ্যা বেড়ে গেলে অনেকে আবার পুরানো বইয়ের বাজারে তা বিক্রি করে দেন কিংবা দানও করেন৷
বড় বড় শহরে বিনামূল্যে বই আদান প্রদানের ব্যবস্থাও রয়েছে৷ কোনো কোনো শহরে পার্কে বা শপিং মলে বিশেষ ‘বুক শেলফ’ স্থাপন হয়েছে৷ এইসব জায়গায় অতিরিক্ত বই রেখে দেন অনেকে৷ অন্যরা আবার পছন্দমত বই নিয়ে যান, পড়া হয়ে গেলে ফেরতও দেন অনেকে৷ তবে এ ক্ষেত্রে বাঁধাধরা কোনো নিয়ম নেই৷
ডুইসবুর্গ শহরের দুটি বড় শপিং মল ‘ফোরুম’ এবং ‘ক্যোনিগস গ্যালারি’তেও এই ধরনের ‘পাঠাগার’ খোলা হয়েছে৷ ফোরুমের সংগ্রহশালাটি বড়৷ সেখানে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০০০ এর মত৷ এছাড়া ডুইসবুর্গ শহরের আরও কয়েকটি স্থানে গড়ে উঠেছে এই ধরনের গ্রন্থাগার৷ সব মিলিয়ে এই সব সংগ্রহশালায় বইয়ের সংখ্যা এক লক্ষ বিশ হাজার!
কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী কর্মী তাদের সময় ও শ্রম দিয়ে গ্রন্থাগারের বইগুলি বিষয় অনুযায়ী সাজিয়ে গুছিয়ে রাখেন৷ নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয় ছোটদের বই৷ সাধারণত একজন পাঁচটি পর্যন্ত বই নিতে পারেন৷ অনেকেই আবার প্রচুর বই দিয়েও যান। ‘ছোট্ট লাইব্রেরিতে’ বসে উল্টে পাল্টে বই দেখতে ও পড়তেও ভালবাসেন অনেকে৷ জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ এর কেন্দ্রও হয়ে ওঠে এইসব পাঠাগার৷
