রোহিঙ্গারা অপরাধকর্মে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আগে থেকে অবস্থান করা রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় অপরাধী চক্রের সহায়তায় অপরাধমনস্ক কিছু রোহিঙ্গা বিভিন্ন ধরনের অপরাধকর্মে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের মধ্যে হত্যা, মারামারি, ছুরিকাঘাত, বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা এবং পিস্তল দিয়ে পরস্পরকে গুলি করার মতো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।’

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. আব্দুল মতিনের (মৌলভীবাজার- ২) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত আছে। রোহিঙ্গাদের যে কেউ অস্ত্র বা অন্য কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত হলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১টি অস্ত্র মামলায় ২৯ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে বিচারে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া হত্যা, মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার এবং মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজিবি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে, মিয়ানমার হতে আগত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে কোনো ধরনের অস্ত্র সঙ্গে করে নিয়ে আসতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনী কর্তৃক অবৈধ অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। নাফ নদীতে মিয়ানমার হতে আগত বোটসমূহে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশিকালে সেন্টমান্টিনের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল হতে তিনটি সামুরাই তরবারি এবং একটি ট্রলারসহ ছয় মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়।’

এ সময় সংসদে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানের প্রক্রিয়াসমূহ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।