আবু আজাদ : বুদ্ধ জ্যোতি বড়ুয়া। বয়স দেড় বা দুই। মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম দিনে মা মিলি বড়ুয়ার সঙ্গে এসেছে চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারে। এসময় কেউ একজন তার হাতে এঁঁকে দিচ্ছিল ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা’। এতে‘ছোট বুদ্ধ’ খুব খুশি। মা জানালেন মন্দিরে ভগবান ‘গৌতম বুদ্ধ’কে দেখতে এসেছে ‘ছোট বুদ্ধ’।
মিলি বড়ুয়া জানান, প্রতিবার বুদ্ধ পূর্ণিমায় বাড়ি (কক্সবাজার) যাওয়া হলেও এবার তা হয়নি। তাই নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারে এসেছেন স্বামীসহ। নিয়ে এসেছেন ছোট্ট ‘বুদ্ধ জ্যোতি’কেও।
বেলা তিনটার দিকে নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারের সামনে এ প্রতিবেদকের কথা হয় মিলি বড়ুয়ার সঙ্গে।
তিনি একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘এবারই প্রথম বাচ্চা নিয়ে মন্দিরে এসেছি। ভেবেছিলাম সন্ধ্যা পর্যন্ত থেকে ফানুস দেখে ফিরবো। কিন্তু আকাশের অবস্থা ভালো নয়। তাই এখনই ফিরে যাচ্ছি।’
মিলি বড়ুয়ার মত অনেকেই এসেছেন নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারে। নন্দনকাননসহ নগরীর কাতালগঞ্জ বৌদ্ধবিহার, দেবপাহাড় পূর্ণাচার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারসহ সকল বৌদ্ধবিহারকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল রূপে। গেইটের বাইরে বিক্রি হচ্ছে ফুল আর মোমবাতি।
প্রবারণা পূর্ণিমাকে আশ্বিনী পূর্ণিমাও বলা হয়। প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে আকাশকে আলোকিত করতে রঙ্গিন আলোর ফানুস উড়ানো। তবে চট্টগ্রামের আকাশ ফানুস উড়ানোর জন্য মোটেও উপযোগী নয় আজ। ঝড়ছে অঝোরধারা।
মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ ও মহাপরিনির্বাণ এর ত্রি-স্মৃতি বিজরিত ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও দিনব্যাপী নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করছে চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শান্তি শোভাযাত্রা, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও ধর্মীয় আলোচনা সভা।
রোববার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির উদ্যোগে নগরীর নন্দনকানন বৌদ্ধবিহার থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন। এ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়।
একুশে/এএ
