বুধবার সংসদে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই সহযোগিতা চান তিনি।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টি হলেই আমরা দেশকে শান্তিপূর্ণ পথে এগিয়ে নিতে সক্ষম হব। মানুষ যতই সচেতন হবে ততই আমরা সাফল্য অর্জন করবো।”
উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চেয়ে সংসদ সদস্য সম্পূরক প্রশ্ন করলে তার জবাবে সরকার প্রধান বলেন, পরিকল্পনা যতই নেওয়া হোক না কেন তা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন হয়।
“সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী যে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, সেখানে সকলের সহযোগিতা দরকার।”
যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মো. মুজাহিদের ফাঁসিকাষ্ঠে যাওয়া নিশ্চিত হওয়ার দিন শেখ হাসিনার এই বক্তব্য আসে।
এদিন দিনাজপুরে এক বিদেশিকে গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। গত দুই মাসে ঢাকা ও রংপুরে দুই বিদেশিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, এই হামলার ধরনও ছিল একই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে জড়িত তাদেরকে ধরিয়ে দেওয়া, আইনের হাতে সোপর্দ ও উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।”
সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।”
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে বলেও জানান সরকার প্রধান।
বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়াছড়াকে ইউনিয়ন পরিষদ গঠনের সম্ভাবনা নাকচ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ছিটমহলবাসীর উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ছিটমহলবাসীকে বিচ্ছিন্ন থাকতে দিতে চাই না। তারা আমাদের মূল ভূখণ্ডের অংশ। এই হিসেবেই আমরা তাদের উন্নয়ন ঘটাতে চাই।”
প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রশ্নোত্তরের এই পর্বে শেখ হাসিনা জানান, ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিভিন্ন জেলা সফরের সময় তিনি ৬১৮টি প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
“এর মধ্যে ৫২টি বাস্তবায়িত হয়েছে, ২৮৫টি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ২৮১টি, যার ১০৬টি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিপিপি অনুমোদিত হয়েছে।”
পর্যায়ক্রমে সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

