শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কিছু টেলিভিশন চ্যানেলে মিথ্যা সংবাদ সম্প্রচারিত হয় : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ | ৭:৩৮ অপরাহ্ন


ঢাকা: কিছু টেলিভিশন চ্যানেলে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্প্রচারিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু টেলিভিশন চ্যানেলে বিভিন্ন সময় মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ সম্প্রচারিত হয়- এ ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল আছি।

কিছুদিনের মধ্যেই প্রাইভেট চ্যানেলের মালিক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ ও সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এবং নতুন প্রজন্মকে দেশগঠনে ব্রতী হওয়ার লক্ষ্যে গণমাধ্যমগুলো যেন কাজ করে এবং মিথ্যা খবর যাতে সম্প্রচার না হয় সে জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইতিমধ্যেই সম্প্রচার নীতিমালা মন্ত্রীসভায় অনুমোদন হয়েছে। সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে সম্প্রচার কমিশন হবে। সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে দেশের বেসরকারি চ্যানেলগুলো যাতে সম্প্রচার করে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্সের সংখা ৪৪টি। সম্প্রচারে আছে ৩৩টি। প্রয়োজনের নিরিখে ভবিষ্যতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক চ্যানেল দেওয়া হবে কি হবে না সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

বেগম নাসরিন জাহান রত্নার প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অনলাইন মিডিয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। আজকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটির বেশী। দেশে অনলাইন মিডিয়া রয়েছে কয়েক হাজার। আমরা অনলাইন নীতিমালা করছি।

‘সম্প্রচার নীতিমালা আমরা করেছি, সেটি আইনে রূপান্তরের পর সমস্ত অনলাইন মিডিয়াকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য আমরা ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে অনেক অনলাইনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। অনলাইনগুলোকে নীতিমালার আওতায় নিবন্ধিত হতে হবে।’ যোগ করেন ড. হাছান মাহমুদ।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সর্বস্তরের সাংবাদিকদের জন্য নবম মজুরী বোর্ডের সুপারিশ কবে নাগাদ কার্যকর হবে? উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। গত ১০ বছরে সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য, গণমাধ্যমের কল্যাণের জন্য, গণমাধ্যমের উন্নয়নের জন্য বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ৮ম ওয়েজবোর্ড ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রথম বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রীসভা কমিটি পুনঃগঠন করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে সেই কমিটির সভা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে বৈঠক করছি। আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে ইতিমধ্যে বৈঠক হয়েছে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত নবম ওয়েজবোর্ডের প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারবো। এরপর সেটি বাস্তবায়ন হবে।