হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার নয়-ছয় : তিমির বরণের ভাগ্যনির্ধারণ আজ


চট্টগ্রাম : তিমির বরণ চৌধুরী ২০১৪ সালে যখন পটিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছিলেন তখন হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছিলেন এইচএসসি পাস। এবারো আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। এ লক্ষ্যে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এর কাছে যে হলফনামা দাখিল করেছেন তাতে উল্লেখ করেছেন এমবিবিএস পাশ।

একুশে পত্রিকার অনুসন্ধানে তিমির বরণ চৌধুরীর  দুই নির্বাচনে শিক্ষাগত যোগ্যতার দুই ধরনের তথ্য প্রদানের বিষয়টি উঠে এসেছে।

হলফনামায় দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে দেখা যায়, ডা. তিমির বরণ বড়ুয়া মেডিকেল প্র্যাকটিশনার হিসেবে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে সনদপ্রাপ্ত। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে তাতে উল্লেখ আছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ২০০০ সালে তিনি এমবিবিএস পাশ করার পরও দুই হলফনামায় দুই ধরনের তথ্য কেন দিলেন। কোনটা সত্য-২০১৪-এর হলফনামা নাকি ২০১৯?

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে একুশে পত্রিকার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় তিমির বরণ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বাসায় থাকা এমবিবিএস সনদটি তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ফলে হলফনামায় এমবিবিএস লিখতে পারিনি। সেটি লিখতে গেলে সনদ সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক। তাছাড়া হাতে সময়ও ছিল না যে, বিএমডিসি থেকে সনদটি সংগ্রহ করবো। এবার সনদটি হাতের কাছে ছিল, তাই শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এমবিবিএস লিখতে কোনো বাধা ছিল না।’

এদিকে, আজ (সোমবার) বেলা তিনটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত আপীলের শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহাবউদ্দিন অভিযোগের ভিত্তিতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অভিযোগে দুই হলফনামায় দুই ধরনের তথ্যপ্রদানের পাশাপাশি তিমির বরণ চৌধুরীর এমবিবিএস সনদটি জাল বলে দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে তিমির বরণ চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি একুশে পত্রিকাকে বলেন, কেউ যদি বলে থাকে আমার সার্টিফিকেট জাল, তাহলে তিনি তা প্রমাণ করুক। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণের জন্য প্রতিবেদকের কাছে একটা দিন সময় চান তিমির বরণ চৌধুরী। বলেন, আজকের দিনটা সময় দিন। কাগজপত্র নিয়ে আপনার কাছে আসব। এরপরই আপনি যা করার করুন।

একুশে/এটি