বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষাবর্ষ নিয়ে ঘোর আপত্তিতে ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা

প্রকাশিতঃ ১১ জুন ২০১৯ | ৭:২৪ অপরাহ্ন

ঢাকা : বয়সসীমা বেঁধে না দিয়ে শিক্ষাবর্ষ বেঁধে দেওয়ার বিষয়টিতে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলানোর পর দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে উপস্থিত হলে তাদের উদ্দেশ্যে ছাত্রনেতারা বলেন, ১৯৯৯ সালে পাস করা ছাত্রের বয়স অনেক সময় ২০০১ সালে পাস করা ছাত্রের বয়সের চেয়ে কম। সুতরাং বয়সসীমা না বেঁধে শিক্ষাবর্ষ বেঁধে দেওয়ায় আগের কমিটির অনেকেই প্রার্থী হওয়ার সুযোগে থেকে বঞ্চিত হবেন।

ছাত্রদল নেতাদের দাবি, ছাত্রদলের অভিভাবক হিসেবে কমিটি বিলুপ্ত করার এখতিয়ার কেবল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অথবা দলের সাংগঠনিক প্রধান হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। কিন্তু তাদের দুইজনের স্বাক্ষর এবং সম্মতির বিষয়টি উল্লেখ করা ছাড়াই মধ্যরাতে নিজের স্বাক্ষরে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে কমিটি বিলুপ্তি করেছেন রুহুল কবির রিজভী যা বিধিসম্মত নয়।

এর আগে গত ৩ জুন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় সংসদ বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে বাতিলের পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে ছাত্রদলের কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কেন্দ্রীয় সংসদ গঠনের কথা বলা হয়। এতে ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

ছাত্রদল নেতাদের দাবি, ছাত্রদলের ধারাবাহিক কমিটি দিতে হবে। আর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একাই দুটি পদ নিয়ে পার্টি অফিসকেই বাড়িঘর বানিয়ে বসে আছেন। রিজভীকে এখান থেকে বের করে নিয়ে যান।

বিক্ষুদ্ধ নেতাদের শান্ত করতে সাবেক ছাত্রনেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্যা বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী নয়াপল্টনে আসেন। কিন্তু তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে ছাত্রদল নেতারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন।

ছাত্রনেতাদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শেষে সাংবাদিকদেরকে ফজলুল হক মিলন বলেন, কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দল থেকে দেওয়া হয়েছে। আর আমরা সবাই বসে এটা কার্যক্রর করবো।

একুশে/এসসি