শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অক্টোবর মাসের মধ্যেই সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ওয়াটার বাস চালু

প্রকাশিতঃ ১১ জুন ২০১৯ | ৮:১৩ অপরাহ্ন


চট্টগ্রাম: আগামী সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের মধ্যেই নগরের সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ওয়াটার বাস চালুর আশ্বাস দিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি’র উপ-মহাব্যবস্থাপক গোপাল চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার সকালে সদরঘাটস্থ বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয়ে নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের নেতৃত্বে নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

মতবিনিময় সভায় খোরশেদ আলম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের নৌ রুটগুলো সচল রাখার জন্য বেশকিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ও এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরকে দিকনির্দেশনা প্রদান করছে। একটি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা বেগবান করতে সড়ক, রেল, বিমান পথের পাশাপাশি নৌপথগুলোও সচল এবং কার্যকর রাখা একান্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, নগরীর সিইপিজেড থেকে বিমানবন্দরগামী সড়কটি প্রতিনিয়তই যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। এতে করে প্রতিদিনই বিমান যাত্রীদের ফ্লাইট মিস হচ্ছে। ফ্লাইটের সময়সূচীর দুই তিন ঘন্টা আগে নিজ বাসা বাড়ী থেকে রওয়ানা হয়েও ফ্লাইট ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে বিমান যাত্রীগণ। এতে করে একদিকে সময় নষ্ট হচ্ছে এবং অন্যদিকে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিমান যাত্রীরা। তাই সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ওয়াটার বাস সার্ভিসটা চালু করা এখন একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি উপ-মহাব্যবস্থাপক গোপাল চন্দ্র মজুমদার নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে জানান, সরকার দেশের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এবং উপকূলীয় এলাকাসমূহকে গুরুত্ব দিয়ে নৌ রুটগুলো পূণরায় চালু করার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন রুটের জন্য ৩৫টি নতুন জাহাজ ক্রয় করা হবে। যার মধ্যে সন্দ্বীপ এবং হাতিয়ার জন্য ২টি জাহাজ বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। জাহাজগুলো তৈরীর প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি নাগরিক উদ্যোগের দাবীর প্রতি সহমত জানিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের মধ্যেই সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ওয়াটার বাস চালুর আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, ওয়াটার বাসগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বর্তমানে বৈরী আবহাওয়ার জন্য চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ওয়াটার বাসগুলো চালু করা হবে। তখন বিমান যাত্রীরা নির্বিঘ্নে নিরাপদে বিমান বন্দরে আসা যাওয়া করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়া ক্যাপটিাল ড্রেজিংটি বন্দরের এখতিয়ার উল্লেখ করে বলেন, ইতিপূর্বেও বন্দর ক্যাপিটাল ড্রেজিং করেছে। বর্তমানেও ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছি। এছাড়া পার্বত্য এলাকার জনগনের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ঐ এলাকায়ও একটি নতুন নৌ রুট চালু করার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন তিনি।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মোঃ ইলিয়াছ, সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, আব্দুর রহমান মিয়া, আতাউল্লাহ চৌধুরী, সাইদুর রহমান চৌধুরী, আব্দুল আজিম, আব্দুস সালাম মাসুম, এ.এস.এম জাহিদ হোসেন, মোঃ শাহজাহান, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, সফি আলম বাদশা, স্বরূপ দত্ত রাজু, হাসান মোঃ মুরাদ, সরওয়ার্দি এলিন, শিশির কান্তি বল, আব্দুল জাহেদ মনি, মোজাম্মেল হক সুমন, মনিরুল হক মুন্না, মোহাম্মদ আলী মিঠু প্রমূখ।