বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে জনগণ মুচকি হাসে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ ২২ জুন ২০১৯ | ৪:১৫ অপরাহ্ন

ঢাকা : তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে জনগণ তখন মুচকি মুচকি হাসে। গণতন্ত্র রক্ষার নামে বিএনপির বিগত কর্মসূচিগুলো (২০১৩-১৪ সালে) জনগণ দেখেছে। জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করে বিএনপি যে প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্র রক্ষা করতে চায় তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

শনিবার (২২ জুন) সকালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ক্যারিয়ার বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ড.হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে অবশ্যই শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। আমরা একটি তর্ক ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় বসবাস করি তাই তর্ক দরকার সমালোচনারও দরকার কিন্তু বিএনপি যেভাবে গণতন্ত্র রক্ষার নমুনা আগে দেখিয়েছে এগুলো গণতন্ত্রের জন্য কিছুই না।

তিনি বলেন. আগামীতে বিএনপি এই রকম নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার নামে কোন কার্যক্রমে আসবে কিনা বা অপচেষ্টা করবে কিনা তা আমি জানিনা তবে জনগণ তাদেরকে সেই পথে আর হাটতে দিবে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান যে কর্মকাণ্ডগুলো করেছেন তার সবকিছুই ছিল অবৈধ। বিএনপির গঠন প্রক্রিয়াটাই সম্পূর্ণ অবৈধ। যা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, আমার বক্তব্য অনুযায়ী নয়। রাজনীতিকে যারা কলুষিত করেছে তাদের সমন্বয় ঘটিয়ে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিএনপির জন্ম হয়েছে।

বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে, জনগণের বিরক্তির কারণ না হয় তাহলে অবশ্যই তারা বিক্ষোভ মিছিল করতে পারে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিচার ব্যবস্থায় যদি সরকারের প্রভাব থাকতো তাহলে বিগত সরকারের পর পর দুই বারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য কখনোই দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে হতো না এবং আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদেরকে সাজা পেতে হতো না। আদালতে হাজিরা দিতে যেতে হতো না।

হাছান বলেন, খালেদা জিয়া যে দুর্নীতির মামলায় আজ সাজা ভোগ করছে তা দিবালোকের মত সত্য এবং তারেক জিয়া যে গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত তা প্রমাণিত আর যদি বিচার ব্যবস্থায় সরকারের প্রভাব থাকতো তবে নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা উচ্চ আদালতে দশ বছর করা হতো।

একুশে/এসসি