শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা’

নগরীর সার্কিট হাউজে টাস্কফোর্সের সভা

প্রকাশিতঃ ২২ অক্টোবর ২০১৯ | ৯:২০ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : ‘ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্ভাস্তুদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। যারা পুনর্বাসিত তাদেরকে স্থায়ী ও যারা পুনর্বাসিত হয়নি তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের জন্যব্যবস্থা নেবে সরকার।’

মঙ্গলবার (২২অক্টোবর) নগরীর সার্কিট হাউজে আয়োজিত টাস্কফোর্সের ১০ম সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনে যথেষ্ট আন্তরিক। পূর্বহিসেব অনুযায়ী পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ৮১ হাজার ৭৭৭টি উদ্বাস্তু পরিবার রয়েছে। এসব পরিবারের অনেকে সদস্য হয়তো মৃত্যুবরণ করেছে। তাদেরকে শীঘ্রই পুনর্বাসনের আওতায় আনার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। উদ্বাস্তু পরিবারগুলোর সঠিক ও শুদ্ধ তালিকা তৈরী করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার গঠিত টাস্কফোর্স।

তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যান ও কারবারীদের সম্পৃক্ত করে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্ভাস্তুদের আলাদা আলাদা তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। যারা মৃত্যুবরণ করেছে বা দেশ ছেড়ে চলে গেছে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়বে। তৈরীকৃত উদ্ভাস্তুদের তালিকা সুপারিশ সহকারে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। যারা পুনর্বাসিত তাদেরকে স্থায়ী ও যারা পুনর্বাসিত হয়নি তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের জন্যব্যবস্থা নেবে সরকার। এছাড়াও উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের ঋণ মওকুফ, ফৌজদারী মামলা প্রত্যাহার, প্রত্যাগত শরণার্থীদের চাকরিতে জ্যেষ্ঠতা প্রদান এবং রেশন দেয়ার বিষয়টি ও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। এখানে পাহাড়ি বা বাঙালি কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সুযোগ-সুবিধা দিতে চায়। ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি চাকুরি সুবিধা ও অন্যান্য সুবিধা দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে।

টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ নুরুল আলম নিজামী, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রতিনিধি মেজর মো.সালাউদ্দিন প্রমুখ।

মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত বিষয়ে টাস্কফোর্স সভার সিদ্ধান্তসহ বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোকপাত করেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমদ অনিক।

একুশে/এএ