বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এবার সেফুদার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ আদালতের

প্রকাশিতঃ ১৯ নভেম্বর ২০১৯ | ১০:৫৮ অপরাহ্ন


ঢাকা : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন মামলায় সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার স্থাবর-অস্থাবর সব ধরনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আদালত সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন এ নির্দেশ দিয়েছেন।

সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর আসামি সেফাতউল্লাহ’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল, যার প্রতিবেদন আজ দাখিল করা হয়। সেখানে আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক রয়েছেন মর্মে উল্লেখ ছিল। তাই ট্রাইব্যুনালে সম্পত্তি ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেছেন। এরপর আদালত আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করেন।

চলতি বছর ২৩ এপ্রিল ঢাকা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী জীবন এ মামলা করেন। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্তের পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই পার্থ প্রতীম ব্রক্ষ্মচারী আসামি সেফুদার বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন অবমাননা ও প্রধানমন্ত্রীর মানহানির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি সেফাত উল্লাহ সেফুদা অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে একাধিক ভিডিও আপলোড করেছে, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, যা আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছে। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধের শামিল। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হলো।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউল্লাহ সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা বলছেন এবং কোরআনকে অবমাননা করছেন, যা সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই সেফুদা উন্মাদ ও বাবার ত্যাজ্যপুত্র। ২৫ বছর আগে তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন তার বাবা হাজী আলী আকবর। তিনি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ১৩ নম্বর সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড চেড়িয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা তিনটি বিয়ে করেন। সবঘর মিলে সেফুদার ভাইবোন ১৫ জনের অধিক। তার মধ্যে সেফুদার আপন ভাইবোনের সংখ্যা আটজন। তবে কারও সঙ্গে তার সর্ম্পক নেই।

পারিবারিক জীবনে সেফুদার এক সন্তান রয়েছে। তিনি ইংল্যান্ডে থাকেন। তার স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। প্রায় ২২ বছর আগে সেফুদা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যান।

একুশে/এএ