সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সন্দ্বীপ আওয়ামী লীগের সম্মেলন : শাহাজান সভাপতি, মিশন সম্পাদক

প্রকাশিতঃ ৩০ নভেম্বর ২০১৯ | ৩:৪৯ অপরাহ্ন

বাদল রায় স্বাধীন, সন্দ্বীপ : দেশের মূল ভুখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সন্দ্বীপকে চট্টগ্রামের মুল ভুখণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে বলে দাবী জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইন্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি।

দীর্ঘ আট বছর পর শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি এই দাবি জানান।

সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান বিএ কে সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দীন মিশনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন।

মাস্টার শাহজাহান বিএ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। সম্মেলনে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা, জেলা  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউনুছ গনি চৌধুরী, এটি এম পেয়ারুল ইসলাম, এহছানুল হায়দার চৌধুরী, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, রোমানা নাসরিন, অ্যাডভোকেট উম্মে হাবীবা, আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, বাসন্তি প্রভা পালিত প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম বলেন, সন্দ্বীপবাসী জাতীয় গ্রিডের যে বিদ্যুৎ পেয়েছেন, এমপি মিতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে।

সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, আজকের কাউন্সিলে জাতীয় নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীরা সেটা মেনে নেবো। কারণ সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগে কোন দ্বিধাবিভক্তি নেই। আমরা চাই সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে।

এরপর দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা নেতৃবৃন্দ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা দেন। এতে বেশীর ভাগ নেতা কর্মী খুশী হলেও তৃনমুলের কাউন্সিলরদের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ। তাদের মতে, কাউন্সিল অধিবেশনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে নেতৃত্বের ফলাফল ব্যতিক্রম হতো।