রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা আর নেই

প্রকাশিতঃ ১৮ এপ্রিল ২০২০ | ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

ঢাকা : উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের স্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের মা জাহানারা হক আর নেই।

শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জাহানারা হক।

আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) বাদ জোহর বনানীর ১১ নম্বর রোডসংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জামে মসজিদে পারিবারিকভাবে সীমিত পরিসরে মরহুমার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তাঁর ছোট ভাই, বড় বোনের পর মাকে হারালেন। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি হাসপাতালে মন্ত্রীর একমাত্র ছোট ভাই আরিফুল হক রনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

মন্ত্রীর বড় বোন সায়মা ইসলাম ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় মারা যান। তিনি স্বামী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। বিয়ের কিছুদিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নূর আমাতুল্লাহ্ রিনা হককে হারান আইনমন্ত্রী। ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর মারা যান আনিসুল হকের বাবা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক।

আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

জাহানারা হকের স্বামী অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক (জন্ম: ১ আগস্ট ১৯২৫-মৃত্যু: ২৮ অক্টোবর ২০০২) ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। সিরাজুল হক বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক ও আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। সিরাজুল হক বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ সহচর।পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। সিরাজুল হক ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এমএনএ, ১৯৭৩ সালের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-বুড়িচং নিয়ে গঠিত সাবেক কুমিল্লা-৪ (বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ কসবা-আখাউড়া) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।