রাশিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটির পাশে একজন আলমগীর জলিল


ফাহির ফখরুল, রাশিয়া থেকে : ওপার বাংলার শক্তিমান কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন-‘মানুষ বড়ো কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও।’ করোনাকালে পুরো মানবজাতিই প্রকৃতির কাছে অসহায়। এমন সংকটে ভালোবেসে রাশিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটির পাশে আছেন আলমগীর জলিল।

তিনি বলেন, করোনা সবার জন্য অবশ্যই সংকট। তবে এই সংকটেও আমাদের ভুলে গেলে চলবে না- এবার মুজিব বর্ষ চলছে। বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষে রাশিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটির একজনকেও কষ্টে থাকতে দেবো না। এটাই মুজিব বর্ষে আমাদের অঙ্গীকার।

অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাজুয়েটস অ্যান্ড ফ্রেন্ডস পিপলসের ‘কাউন্সিল চেয়ারম্যান’ এবং সাব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস অব রাশিয়ার ‘সভাপতি’ আলমগীর জলিল। রাশিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তিনি ‘সবার বন্ধু আলমগীর’ নামে পরিচিত।

প্রতিবছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করেন তিনি। আর ডিপ্লোমা পাওয়াদের জমকালো আয়োজনে সম্মাননা দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক দৃঢ় করতে সাংস্কৃতিক বন্ধন বাড়াতে রুশ-বাংলা কনসার্ট করেন আলমগীর জলিল। এই কনসার্টে দুই দেশের নামী শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে।

করোনাকালে রাশিয়ার ৪৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ইফতার উপহার দিয়েছেন এ মানবিক মানুষ। জাতপাত, দলমতের বাইরে গিয়ে সবাই মিলে, সবার ভালো থাকার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে আলমগীর জলিলের সংগঠন।

মস্কোর ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রমজান মাসব্যাপী ইফতার উপহার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া মস্কো শহরের ৭টি বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ইফতার উপহার দিচ্ছেন প্রতিদিন। আলমগীর জলিল সবার খোঁজ খবর নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তিনি চান একটি বাংলাদেশি মানুষও যাতে করোনার সংকটে কষ্টে না থাকে।

নিজেই নিজের পুকুর থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ছাত্রদের জন্য। এটি ভিনদেশের মাটিতে এটা কল্পনাও করা যায় না। এমন মানবিক আলমগীর জলিলরাই তো বাংলাদেশ।

ফাহির ফখরুল, সাংবাদিকতা বিভাগ, রুদেন ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়া।