জোড়া তালি দিয়ে আর যাই হোক আইসিইউ চলে না : ডা. ফয়সল


চট্টগ্রাম : করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চালু হওয়া আইসিইউ শয্যা পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেই বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী।

শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে বিএমএ নেতা ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী লিখেছেন, ‘জোড়া তালি দিয়ে আর যাই হোক আইসিইউ চলে না। আইসিইউ পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত নার্স, চিকিৎসক, ওয়ার্ডবয় ছাড়া আইসিইউ চলে না।..’

গতকাল আর আজকে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোর্শেদ আলমকে বাঁচাতে পারেননি বলেও জানান ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, জেনারেল হাসপাতালের নার্সরা কোন প্যারামিটার বুঝেন না। সেখানে সর্বোচ্চ ১৫ লিটারের বেশী অক্সিজেন দেয়া যায় না। যে কজন চিকিৎসক আছেন তাদেরকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংযুক্তি দিয়ে আনা হয়েছে, দুয়েকজনের আইসিইউতে প্রশিক্ষণ আছে মাত্র। কিন্তু যে নার্সগুলো আছে তারা প্রশিক্ষিত নয়। মাত্র ৭-১০ দিন ট্রেনিং দিয়ে পাঠানো হয়েছে।

ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ভেন্টিলেটর নিয়ে চেঁচামেচি করে কি লাভ? সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন চট্টগ্রাম সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ও আইসিইউ প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও পর্যাপ্ত ওয়ার্ডবয়।

এসব বিষয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক অসীম কুমার নাথের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, করোনায় আক্রান্তদের বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালকে নির্ধারণ করা হলেও শুরুতে এতে কোনো আইসিইউ সুবিধা ছিল না। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ হাসপাতালের জন্য ভেন্টিলেটর মনিটরসহ ১০টি আইসিইউ শয্যা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু এসব আইসিইউ শয্যা পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল নেই বলে অভিযোগ উঠছে।