বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে চীনা প্রেসিডেন্টের নির্দেশ, জরুরি বৈঠকে মোদি

প্রকাশিতঃ ২৭ মে ২০২০ | ২:৫১ অপরাহ্ন


নয়াদিল্লি: ভারত-চীন চলমান সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ‘সেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হবে। সে জন্য সামগ্রিক প্রশিক্ষণ জরুরি।’ চীনের ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষা’এবং ‘দেশের কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য’ যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে সেনাকে নির্দেশ দিয়েছেন জিনপিং।

গতকাল (মঙ্গলবার) চীনা সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার সময়ে চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান শি ওই মন্তব্য করেছেন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে জিনপিংয়ের বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনাবাহিনীকে নির্দেশে বলেছেন, ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থতির জন্য তৈরি হতে হবে এবং ‘দেশের সার্বভৌমত্ব’ রক্ষা করতে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’ জিনপিং অবশ্য কোন্‌ দেশের কাছ থেকে বিপদের আশঙ্কা করছেন সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ করেননি।

অন্যদিকে, ভারত-চীন চলমান উত্তেজনার মধ্যে নয়াদিল্লিস্থ চীনা দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারত থেকে যেসব চীনা নাগরিক দেশে ফিরতে চান, তাদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে।

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত-চীন সীমান্তে লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও তিন বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। এরআগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তিন বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর- উপগ্রহ চিত্রে প্রকাশ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে চীন প্রায় হাজার দশেক সেনা মোতায়েন করেছে। তিব্বতের গারি গুনশা ঘাঁটিতে চলছে নির্মাণকাজ। সেখানে কিছু যুদ্ধবিমানও রয়েছে। ওয়েস্টার্ন সেক্টর লাদাখ এবং ইস্টার্ন সেক্টর সিকিমে একইসঙ্গে কয়েকদিনের ব্যবধানে চীন ও ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক সেনা আহত হয়েছে।

চীন সম্প্রতি ভারতের উত্তরাখণ্ড সীমান্তে বেশি করে সেনা জমায়েত শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডে চীনের এই আচমকা সেনা মোতায়েন রীতিমতো অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতও সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডকে এখানে আনছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তরেখায় তৎপর রয়েছে ভারত। ভারত বরাবরই সীমান্তের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়েছে।