শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামের সিটি হলে হচ্ছে ৩০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ ২৭ মে ২০২০ | ৫:১৮ অপরাহ্ন


চট্টগ্রাম : সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশন সেন্টারকে ৩০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া করোনাভাইরাসে শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য চট্টগ্রামে আরও ১১টি বুথ বসানো হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলা সম্পর্কিত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী।

সভা শেষে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলা সম্পর্কিত বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে একটা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিও আছেন। এই কমিটি হাসপাতালগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালু করার জন্য কী কী প্রয়োজন সেগুলো নির্ধারণ করবে। এই হাসপাতালগুলো আজকে থেকে সরকার অধিগ্রহণ করা শুরু করবে।

তিনি বলেন, সভায় কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, আজকে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল অধিগ্রহণ করা হবে। আগামীকাল দুইদিনের মধ্যে বাকি হাসপাতালগুলো (ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতাল) অধিগ্রহণ করা হবে। রেলওয়ে হাসপাতাল পুরোপুরি প্রস্তুত, সব দিক থেকে। রেলওয়ের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এখনই রোগী ভর্তি করা সম্ভব।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরে নমুনা সংগ্রহের জন্য আরও ১১টি বুথ স্থাপন করা হবে বলেও জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের বাইরে আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিটি হল কনভেনশন সেন্টারে ৩০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হবে। এট স্থাপন করার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী সর্বোতভাবে সহায়তা করবে। এরপরও আইসোলেশন সেন্টারের প্রয়োজন পড়লে চট্টগ্রামের নগরে যেসব শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে সেগুলো আমরা আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তর করবো। পরবর্তীতে আরও হাসপাতাল প্রয়োজন হলে সরকার সেগুলো অধিগ্রহণ করবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শিপ ব্রেকিং অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, তাদের ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল আছে, সেটি করোনা রোগীদের জন্য দিতে পারবে। কমিটি তাদের সাথে আলোচনা করে কখন দিতে পারবে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে। পার্কভিউ হাসপাতাল করোনা ইউনিট চালু করেছে। সেখানে সুযোগ-সুবিধা আরও কিভাবে বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।