শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফের দিল্লি কেজরিওয়ালের, বলছে বুথফেরত সমীক্ষা

প্রকাশিতঃ ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | ৯:২৯ অপরাহ্ন

 

ভারত : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ৫৩ আসনের জয় নিয়ে হ্যাটট্রিক করছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (এএপি)।

শনিবার নয়াদিল্লির ভোট শেষে বুথ ফেরত জরিপে বিজেপিকে হারিয়ে ফের কেজরিওয়ালের এএপির ক্ষমতায় আসার এমন ইঙ্গিত মিলেছে।

এদিকে, বুথ ফেরত জরিপে আম আদমি পার্টির এগিয়ে থাকার খবরে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এমপিদের জরুরি বৈঠকে তলব করেছেন দলটির নেতা অমিত শাহ।

শনিবার ভোট শেষ হওয়ার পর অন্তত চারটি সংস্থা তাদের বুথ ফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে। এনডিটিভির বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের ৫৩টিতে জয় পেয়ে ফের মসনদে বসতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি। অন্যদিকে, ২০ বছর ধরে দিল্লির মসনদের বাইরে থাকা বিজেপি মাত্র ১৬টি এবং দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে।

দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউয়ের বুথ ফেরত জরিপ বলছে, দিল্লির নির্বাচনে ৪৭টি আসনে জয়ী হতে যাচ্ছে আম আদমি পার্টি। বিজেপি ২৩টি আসনে জয় পেতে পারে।

এবিপি নিউজ-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষায় আম আদমি পার্টি ৪৯ থেকে ৬৩ আসনে এবং বিজেপি ৫ থেকে ১৯ আসনে জয় পেতে পারে বলে পূর্বাভাষ দেয়া হয়েছে।

রিপাবলিক টিভি-জন কি বাতের সমীক্ষা বলছে, আম আদমি পার্টি ৪৮ থেকে ৬১টি আসন এবং বিজেপি ৯ থেকে ২১টি আসনে জয় পাবে।

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে টানা বিক্ষোভের মাঝেই শনিবার নয়াদিল্লি বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নতুন এই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক চাপের মুখে থাকা বিজেপি দিল্লির নির্বাচনে সুবিধা করতে পারবে না বলে বিশ্লেষকরা আগে থেকেই আভাষ দিয়েছেন।

২০১৩ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় আম আদমি পার্টি। নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ২৮টি জিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে এএপির। ভারতীয় জনতা পার্টি এই নির্বাচনে ৩১টি ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ৮টি আসন জয় পায়। ৩টি আসনে জয়ী হয় অন্যান্য দল।

ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর আম আদমি পার্টি দিল্লি বিধানসভায় সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে। সরকার গঠনে কংগ্রেস কেজরিওয়ালের এই দলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে। ফলে বিজেপিকে হারিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।

একুশে/এএ