ঢাকা : বাবা-মা‘র কবর জিয়ারত করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বনানী কবরস্থানে এ দুই সহোদর ভাই তাদের পরিবারসহ বাবা-মা ও অন্যান্য শহীদদের কবর জিয়ারত ও তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সহোদর ভাই। শেখ ফজলুল হক মনি ও আরজু মনি দম্পতির সন্তান। পরশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কালো রাতে শেখ ফজলে শামস পরশের বাবা শেখ ফজলুল হক মনি ও সন্তানসম্ভবা মা আরজু মনি শহীদ হন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দুই শিশুপুত্র পরশ ও তাপস। এসময় পরশের বয়স ৫ আর তাপসের বয়স ছিল ৩ বছর। ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বর্তমান ঢাকা-১০ আসনের এমপি। ২০০৮, ২০১৩ সালের নির্বাচনেও তিনি এমপি হন।
অন্যদিকে পরিণত বয়সে তাপস রাজনীতিতে পাকাপোক্ত অবস্থান করে নিলেও দূরে ছিলেন পরশ। শেখ ফজলে শামস পরশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে ফের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। গেল ১০ বছর ধরে তিনি রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবকদের সংগঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুবলীগ গঠন করেন তার ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি। ১৯৭৪ সালে যুবলীগের প্রথম কংগ্রেসে তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির দ্বিতীয় জাতীয় কংগ্রেসে আমির হোসেন আমু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোস্তফা মহসীন মন্টু। ১৯৯৩ সালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ১৯৯৬ সালের চতুর্থ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ২০০৩ সালের পঞ্চম জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর কবির নানক। সর্বশেষ ২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান শেখ মনি ও শেখ সেলিমের ভগ্নিপতি ওমর ফারুক। ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডে তাকে সংগঠনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে সম্মেলনের সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকেও দূরে রাখা হয়েছে।
একুশে/এএ/এটি