রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চবি চারুকলা: ২২ কিলোমিটার দূর থেকে ফিরছে আপন ঠিকানায়

একুশে প্রতিবেদক | প্রকাশিতঃ ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন


দীর্ঘ আন্দোলনের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাতের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনের পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তের পর প্রায় ৩৪ ঘণ্টা ধরে চলা আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, “সিন্ডিকেট সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরত আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পর এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে।”

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন বলেন, “প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর সিন্ডিকেট আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর এবং দ্রুত ক্লাস শুরুর আশ্বাস পেয়ে আমরা অনশন প্রত্যাহার করেছি।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে নগরীর মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়কে অবস্থিত চারুকলা ইনস্টিটিউট। ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভাগ এবং নগরীর সরকারি চারুকলা কলেজকে একীভূত করে ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এখানে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।

মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ার পর অবকাঠামোগতসহ ১১ দফা দাবিতে তাদের আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন, ইনস্টিটিউটে তালা দেওয়া, মূল ক্যাম্পাসে অবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কয়েকবার ক্লাসে ফিরলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা বারবার আন্দোলনে ফিরে যান। সর্বশেষ সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা, যা মঙ্গলবার রাতে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তের পর প্রত্যাহার করা হয়।