সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেলের বাঁশবাড়িয়া অংশে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর সিফাত নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। রোববার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সাড়ে চারশ গজ দূর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিফাত কক্সবাজার জেলার ইনানী বিচ এলাকার ছেপটখালির মোহাম্মদ আমান উল্লাহর ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সিফাত সবার বড় ছিল। পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট এলাকায় একটি নির্মাণাধীন সড়কে দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিতে ঢালাইয়ের কাজ করতে ৮ দিন আগে কক্সবাজার থেকে এসেছিল।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, “শনিবার ঘটনার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সিফাতকে উদ্ধারে অভিযান চালাই। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেদিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আগ্রাবাদ থেকে আসা ডুবুরি ইউনিট পুনরায় অভিযান শুরু করে। সকাল ১০টার দিকে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ গজ দূরে তার লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।”
কুমিরা নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, “ঘটনার দিন আমরা বাঁশবাড়িয়া এলাকায় সাগরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সিফাতকে পাইনি। আজ (রোববার) সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার লাশ উদ্ধার করে।”
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সিফাতের লাশ তার বাবা মোহাম্মদ আমান উল্লাহর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফিরোজ মিয়া।
সিফাতের বাবা মোহাম্মদ আমান উল্লাহ বলেন, “সিফাতরা ৩ ভাই ও ১ বোন। তাদের মধ্যে সিফাত সবার বড়। এলাকার ছেলেদের সাথে কাজ করার জন্য সে কক্সবাজার থেকে সীতাকুণ্ডে এসেছিল। এখন তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাব।”
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে বাঁশবাড়িয়া সাগরপাড়ে গোসল করতে নেমে সিফাত প্রবল স্রোত ও জোয়ারের পানির টানে তলিয়ে নিখোঁজ হয়।